মনিরামপুর উপজেলা
বাংলাদেশে মনিরামপুর উপজেলার অবস্থান স্থানাঙ্ক: 17px-WMA_button2b২৩°০′৫২″ উত্তর ৮৯°১৪′১৩″ পূর্বস্থানাঙ্ক: 17px-WMA_button2b২৩°০′৫২″ উত্তর ৮৯°১৪′১৩″ পূর্ব |
বিভাগ খুলনা বিভাগ
জেলা যশোর জেলা
আসন ৮৯, যশোর-৫
আয়তন • মোট ৪৪৪.৭৩ কিমি২ (১৭১.৭১ বর্গমাইল) জনসংখ্যা (২০১১)[১] • মোট ৩,৮২,৪৬৫ • ঘনত্ব ৮৬০/কিমি২ (২২০০/বর্গমাইল)
স্বাক্ষরতার হার • মোট ৫০.৭৬%
পোস্ট কোড ৭৪৪০
মণিরামপুর বাংলাদেশের যশোর জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। এটি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ উপজেলার মধ্যে অন্যতম ।
প্রশাসনিক এলাকা
বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম উপজেলা মণিরামপুর। এর আয়তন ৪৪৪.৭৩ বর্গ কিলোমিটার (১৭১.৭৩ বর্গমাইল)। উত্তরে যশোর সদর উপজেলা, পূর্বে অভয়নগর উপজেলা, দক্ষিণে কেশবপুর উপজেলা এবং পশ্চিমে সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলা ও ঝিকরগাছা উপজেলা।
এখানকার প্রধান নদ-নদী সমুহ:
হরিহর, মুক্তেশ্বরী, কপোতাক্ষ।
জনসংখ্যা মোট জনসংখ্যা ৩৮২৪৬৫ জন। পুরুষ ১৯৫৩৩৮ জন, মহিলা ১৮৭১২৭ জন। মনিরামপুর উপজেলা ১৯৮৩ সালে গঠিত হয় । এখানে ১টি পৌরসভা, ১৭টি ইউনিয়ন, ২৪৯ টি গ্রাম আছে । ইউনিয়নগুলো হলোঃ- কাশিমনগর ইউনিয়ন, কুলটিয়া ইউনিয়ন, খানপুর ইউনিয়ন, খেদাপাড়া ইউনিয়ন, চালুয়াহাটি ইউনিয়ন, ঝাঁপা ইউনিয়ন, ঢাকুরিয়া ইউনিয়ন, দুর্বাডাঙ্গা ইউনিয়ন, নেহালপুর ইউনিয়ন, ভোজগাতি ইউনিয়ন, মনিরামপুর ইউনিয়ন, মনোহরপুর ইউনিয়ন, মশ্বিমনগর ইউনিয়ন, রোহিতা ইউনিয়ন, শ্যামকুড় ইউনিয়ন, হরিদাসকাটি ইউনিয়ন, হরিহরনগর ইউনিয়ন।
স্থানীয় সংগঠন
অভেদ রক্তদান সংস্থা,প্রত্যয় সমাজ উন্নয়নমূলক সংগঠন,সত্যসন্ধ, কণ্ঠশীলন, উচ্চারণ শিল্পী সংসদ, মণিরামপুর শিল্পী গোষ্ঠি।
স্থানীয় উৎসব
বৈশাখি মেলা বই মেলা মণিরামপুর শিল্পী গোষ্ঠির আয়োজনে ২০০০ সাল থেকে নিয়মিত এই বইমেলা হয়ে থাকে। মণিরামপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সাধারণত এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। কৃষি মেলা বৃক্ষ ও ফলজ মেলা পূজা ও পার্বন মশিয়াহাটি এর মন্দির প্রাঙ্গণ এর দূর্গাপুজা অন্যতম চমকপ্রদ ।তাছাড়া কপালিয়ায় মহামায়া পুজা (গাউটে মেলা)-এর মেলা বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য।
জনসংখ্যার উপাত্ত শিক্ষা অর্থনীতি
এই অঞ্চলের মানুষের প্রধান শস্যগুলোর মধ্যে ধান,পাট,গম,আলু ইত্যাদি অন্যতম। এছাড়া শিল্পকারখানার দিক দিয়ে মনিরামপুর খুব একটা উন্নত না হলেও এখানে কিছু কলকারখানা রয়েছে। এই অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে আম, কাঁঠাল, কলা সহ অন্যান্য ফল পাওয়া যায়। এই অঞ্চলের মানুষের জীবিকা মূলত কৃষিনির্ভর। সম্প্রতি অত্র অঞ্চলে মাছের চাষে তুলনামূলক অগ্রগতি হবার কারণে মানুষের জীবন জীবিকা এবং অর্থ নৈতিক অবস্থার আমুল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে।
দর্শনীয় স্থান
পাগলাদোহা, অচিন গাছ, দমদম পীরের ডিবি। ভাসমান সেতু(ঝাপা)[২]
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।